Sunday, May 5বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

সিলেটে সতিনের মেয়েকে ফাঁসাতে গিয়ে এস আই লতিফ আমার হাত কতটুকু লম্বা তোরা কেন প্রধানমন্ত্রীও জানেন না

সিলেটে সতিনের মেয়েকে ফাঁসাতে গিয়ে বাড়িতে গিয়ে তিন কলেজছাত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও তাদের ইয়াবা দিয়ে জেলে ঢোকাবেন বলে হুমকি দিয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই আব্দুল লতিফ।

সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর এমন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন রাহেলা বেগম (৪৫) নামের এক নারী।

অভিযোগপত্রে রাহেলা বেগম লিখেছেন, এসআই আব্দুল লতিফ তাদের হুমকি দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আর আমার হাত কতটুকু লম্বা তোরা কেন প্রধানমন্ত্রীও জানেন না ’

সূত্র জানায়, অভিযোগকারী রাহেলা বেগম উপজেলা সদরের পাশ্ববর্তী জানাইয়া গ্রামের আশিক আলীর প্রথম স্ত্রী।

গত রোববার দুপুরে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বরাবরে এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্রে রাহেলা বেগম লিখেছেন, ’গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) আমার সতিন মনোয়ারা বেগমের (৪০) দেয়া একটি অভিযোগ তদন্তে বাড়িতে গিয়ে এসআই আব্দুল লতিফ আমার কলেজে পড়ুয়া তিন মেয়েকে হুমকি দেন।’

প্রতিবাদ করলে এসআই লতিফ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে বলেন, ‘তোদের মতো হাজারও বেহায়া মেয়েদের জেলে ঢোকিয়ে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছি’। একদম ইয়াবা দিয়ে জেলে চালান করে দেব। আর আমার হাত কতটুকু লম্বা তোরা কেন? প্রধানমন্ত্রীও জানেন না’।

সূত্র জানায়, স্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই ২০১০ সালে রাহেলা বেগমের স্বামী আশিক আলী বিয়ে করেন মনোয়ারা বেগমকে।

স্বামী ও সতিনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ওই বছরেই ২ ছেলে ও ৩ মেয়েকে নিয়ে পৃথক হয়ে একই বাড়িতে আলাদা বসবাস শুরু করেন রাহেলা। বর্তমানে রাহেলার দুই ছেলে ব্যবসা করছেন আর ৩ মেয়ে কলেজে লেখাপড়া করছেন।

এদিকে সম্প্রতি পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী মনোয়ার সঙ্গেও বিবাদে জড়িয়ে ঘরছাড়া হন আশিক আলী। টাকার জন্য প্রথম স্ত্রী রাহেলার ছেলে ইমামুল ইসলামের কাছে বাড়ির ৯টি গাছ ৪হাজার টাকায় বিক্রি করে ওই টাকা নিয়ে অন্যত্র চলে যান আশিক আলী।

পরদিন সকালে থানায় গিয়ে ইমামুলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ করেন মনোয়ারা। রাতে অভিযোগ তদন্তে গিয়ে উভয় পক্ষকে ঝগড়াঝাটি না করতে বলেন এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা।

এর পরদিন রাহেলার মেঝো মেয়ে সাহেদা বেগমকে পিটিয়ে আহত করেন মনোয়ারা। বিষয়টির সূরাহা করতে দুইবার তাদের বাড়িতে যান এসআই আব্দুল লতিফ।

এসময় তিনি মনোয়ারার পক্ষ নিয়ে রাহেলার কলে পড়ুয়া মেয়েদের ইয়াবা দিয়ে জেলে ঢোকানোর হুমকি দেন।

অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার এসআই আব্দুল লতিফ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘মনোয়ারা বেগম তার সতিনের ছেলে-মেয়দের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিলে আমি তদন্তে গিয়ে আইনগতভাবে যা করতে হয় তাই করেছি। অন্যায় কিছু করেনি।’

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) ইমাম মোহাম্মদ শাদিদ জানান, পুলিশ সুপার না থাকায় এই অভিযোগটি তিনিই দেখছেন।

তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে এসআই আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *