Thursday, April 25বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাতের হত্যাকারিীদের গ্রেফতারের নির্দেষ প্রধানমন্ত্রীর

বার্তা প্রতিনিধি: বরগুনা সরকারি কলেজ এলাকায় স্ত্রীর সামনে তার স্বামী নেয়াজ রিফাত শরিফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যার ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো রামদা দিয়ে মানুষ হত্যার বিচারের দাবিতে ইতোমধ্যে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। একই সঙ্গে নিজ নিজ জায়গা থেকে অনেকে ওই অপরাধীদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন।

এদেকে এই গটনায় স্বরাষ্ট মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন খুনিদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। এদিকে বরগুনায় স্ত্রীর সামনে স্বামী রিফাতের হত্যাকারিীদের গ্রেফতারের নির্দেষ প্রধানমন্ত্রীর ।

জানা গেছে, ভিডিওতে যে যুবক নিহত রিফাতকে ধারালো কোপাচ্ছিল তার নাম সাব্বির হোসেন নয়ন এবং বরগুনা শহরের ধানসিঁড়ি এলাকার আবু বক্তর সিদ্দিকির ছেলে। তার বিরুদ্ধে ৮টি মাদক, ৩টি চুরি মামলাসহ ২০টির উপর মামলা রয়েছে।

স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের বাসায় মাঝে মাঝে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে নয়ন।

আর মামলার ২নং আসামি রিফাত ফরাজী সাবেক সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেনের ভায়রার ছেলে।

নয়নের মা সাজেদা বেগমের দাবি, নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা আক্তার মিন্নির সাবেক স্বামী তার ছেলে নয়ন। তিনি বলেন, প্রায় সাত মাস পূর্বে আয়শা আক্তার মিন্নির সাথে তার ছেলে নয়নের বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই নিজেদের মধ্যে কলহ দেখা দিলে মিন্নি তার ছেলেকে ডিভোর্স দেয়।

নিহত রিফাতের স্ত্রী মিন্নি জানান, ডিভোর্সের পর নয়ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিভিন্ন আপত্তিকর ছবি পোস্ট দিতে থাকে। এ নিয়ে নয়নের সাথে রিফাতের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। তিনি বলেন, এদিন আমি আমার স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা সর্বাত্মক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। আমি ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

কাকে বলি যে এসে দেখে যাও আমরা কেমন করে বেঁচে আছি! কাকে বলি, এই কি মানুষজন্ম? কাকে বলি, যদি পারো লেখো আমাদের জাতীয় জীবনের বিষাদসিন্ধু। কারবালায় চালানো এজিদের নৃশংসতা প্রতিদিন ঘটে চলেছে বাংলাদেশে। আমাদের আপস করে নিতে হয়। ধর্ষকের সঙ্গে আপস করতে হয় ধর্ষণের শিকার মেয়ের পরিবারকে। ছেলের খুনিদের সঙ্গে আপস করতে হয় মাকে। আমার মণিকে মাফ করে দাও, ভিক্ষা দাও।’ বেঁচে থাকাই এক বড় আপস।

কিন্তু প্রাণপ্রিয় পুত্রকে হারিয়ে বা তাদের আহত-রক্তাক্ত চেহারা দেখেও যখন আপস করতে হয়, তখন কোন জাদুঘরে পাঠাব আমাদের সংবিধানকে? কার কাছে বিচার চাইবে মানুষ?

সূত্র: বিডি-প্রতিদিন/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *