Saturday, April 20বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

দেশে প্রথম আবিস্কার প্রকৌশল ড. এমদাদুল হকের হাইব্রিড গাড়ী

বার্তা প্রতিনিধি: বাংলাদেশে এই প্রথম আবিস্কার করা হলো একই সঙ্গে ইলেকট্রিক্যাল প্লাগ ইন, ইঞ্জিনসেবা ও সোলার চার্জিং সিস্টেম হাইব্রিড গাড়ী। এর ফলে জ্বালানি শেষ হলেও চলবে গাড়ি। সোলার সিস্টেম থাকায় যানজটে আটকে থাকলেও ব্যাটারি চার্জ হবে। তাই শক্তি বা জ্বালানির অপচয় হওয়ার সুযোগ নেই। এ ছাড়া আছে প্লাগ চার্জিং সিস্টেমও। বিদ্যুতের সাহায্য নিয়ে চার্জ দেওয়া যাবে।

এমন এক আজব গাড়ি উদ্ভাবন করেছেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক। আবিষ্কার করেছেন দেশের প্রথম হাইব্রিড প্রযুক্তির গাড়ি।

বৈজ্ঞানিক ধারায় গতানুগতিক ও প্রচলিত গাড়ি ব্যবহারে দেশের সড়কগুলোতে বাড়ছে যানজট সমস্যা। যার কারণে গাড়ির গতিবেগ গড়ে ঘণ্টায় গিয়ে দাঁড়ায় ছয় কিলোমিটার। এতে করে জ্বালানির অপচয় হচ্ছে। সড়কে যেসব ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে সেগুলো প্রতি লিটার অকটেন পুড়িয়ে ৫ থেকে ৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারে। কিন্তু এতসব জটিলতার ভিড়ে সমস্যার একটা নগদ সমাধান হতে পারে এমন ভাবনা থেকেই আমি এই হাইব্রিড গাড়িটি আবিষ্কার করি। পোর্টেবল ডিভাইসের মতো এই প্রযুক্তিটি এখন যে কোনো গাড়ির সঙ্গে ব্যবহার করা যাবে।

তিনি বলেন ব্যাটারি ব্যবহার করেও ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া একবার চার্জ হলে জ্বালানি ব্যবহার ছাড়াই একটানা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলা সম্ভব। একটি পরিত্যক্ত গাড়ি থেকে হাইব্রিড গাড়ি রূপান্তর করে ব্যবহার উপযোগী করতে খরচ পড়বে মাত্র দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। হাইব্রিড গাড়ি চলার জন্য প্রাথমিক শক্তি হিসেবে হাইব্রিড ব্যাটারি এবং দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে জ্বালানি তেল ব্যবহৃত হয়।

অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক আরো বলেন ব্যাটারির চার্জ যদি শেষ হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইঞ্জিন চালু হয়। ব্যাটারির শক্তি গাড়ির জন্য যথেষ্ট না হলে হাইব্রিড ব্যাটারি এবং ইঞ্জিন যৌথভাবে শক্তি উৎপাদন করে আর গাড়ির চাকাকে রাখে গতিশীল। ব্যাটারি চাকার ঘূর্ণন গতি এবং ইঞ্জিনের পরিত্যক্ত কর্মশক্তি থেকে চার্জ সংগ্রহ করে। এভাবেই হাইব্রিড গাড়ি পরিচালিত হয়। এতে আপনি পেতে পারেন দ্বিগুণ মাইলেজ। এই গাড়িতে জ্বালানি এবং ব্যাটারি শক্তি যৌথভাবে ব্যবহৃত হয়। তাই ইঞ্জিন যখন জ্বালানিতে চলে তখন ব্যাটারি ইঞ্জিনের পরিত্যক্ত শক্তি সংগ্রহ করে। আবার চাকা ঘুরলে যে ঘূর্ণন শক্তি উৎপাদন হয় তা থেকেও ব্যাটারি শক্তি পায়। আর যখনই ব্যাটারি পরিপূর্ণ বা আংশিক চার্জ হচ্ছে তখন ইঞ্জিন স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে ব্যাটারির শক্তিতে গাড়ি চলতে থাকে।

অধ্যাপক আরো বলেন মজার ব্যাপার হলো, এই পরিবর্তন গাড়ি নিজে থেকেই করে। এ জন্য আলাদা কোনো সুইচ চাপতে হয় না। গাড়ি নিজের প্রয়োজনে ব্যাটারি বা ফুয়েলকে জ্বালানি শক্তি হিসেবে ব্যবহার করে। এই হাইব্রিড গাড়ী দেশের মানুষকে জ্বালানী থেকে নিস্তার ও আশার আলো দেখাবে বলে অনেকের ধারনা। আর অধ্যাপক ড. এমদাদুল হকের মতে এখানে সরকারের সহযোগীতা পারবে তার এই উদ্ভাবক হাইব্রিড গাড়ীটি মানুষের ব্যাবাহারের উপযোগী করে মানুষের ধারে পৌচে দিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *