বৈশ্বিক অসহায়ের সময় মুত্যুমুখি মানুষের করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা চৌধুরীসহ ৮ জনের মামলার রায়ের দিন ধার্য রয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
জালিয়াতির এই রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে রাষ্ট্রপক্ষ। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কাজেই তারা খালাস পাবেন। এর আগে, গত ২৯ জুন আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।
বাংলাদেশে যখন করোনায় মানুষ প্রায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে ঠিক তখনি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে।
জেকেজি হেলথকেয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
এদিকে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। গত ২০ এপ্রিল মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভূক্ত ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। গত ১১ মে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
জেকেজি হেলথকেয়ারের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মামলায় চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন, ডা. সাবরিনার স্বামী আরিফুল চৌধুরী, সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। তারা সবাই কারাগারে আছেন। তবে এই সকল প্রতারকদের সর্বোচ্ছ শাস্থি চান দেশের সাধারন জনগন সহ সুশিল সমাজ।