বার্তা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ টেষ্ট ক্রিকেটে চট্টগ্রামে আফগান স্পিনের মোকাবেলায় রীতিমতো ধুঁকছে বাংলাদেশ। মোহাম্মাদ নবী, রশিদ খান, জহির খানদের ঠিকমতে খেলতেই পারছেন না বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা।
দেখা গেছে তিন বলের মধ্যে সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহীমের উইকেট হারিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বাংলাদেশ দল। আগে ৫৪ রানে তিন উইকেট চলে যাওয়ায় মিডল অর্ডারের দায়িত্ব ছিল ইনিংস মেরামত করার, কিন্তু রশিদ খানের এক ওভারে দলের সেরা দুই তারকাকে হারিয়ে খাদের কিনারে চলে গেছে দল।
তবে টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার পর মুমিনুল হক ও সাকিব আল হাসান ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়েছিলেন। বিশেষ করে মিডল অর্ডারে মুমিনুল, মুশফিক ও সাকিবের দিকে তাকিয়ে ছিল সমর্থকরা। সাকিব-মুমিনুল জুটি সেই পথেই চলছিল; কিন্তু ৩৩তম ওভারে রশিদ খানের বলে সাকিব ব্যক্তিগত ১১ রানের মাথায় এলবিডব্লিউ হয়ে যান। নতুন ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম এসে দ্বিতীয় বলেই আউট! ব্যাটের কোনায় লেগে নাগের ডগায় দাড়ানো ফিল্ডারের হাতে যায়। যদিও আউটটি নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। তৃতীয় আম্পায়ারও অনেকভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে এসেছেন।
যার ফলে বাংলাদেশর রান দাড়ায় ৫ উইকেটে ৮৮। আফগানদের প্রথম ইনিংসে করা ৩৪২ রানের জবাব দিতে নেমে তাই স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ শিবির। ফলে দেখা দিয়েছে ফলো অনের শঙ্কা। ফলোঅন এড়াতে হলে করতে হবে ১৪২ রান। মুমিনুল হক ২৭ রানে অপরাজিত আছেন। আফগানদের পক্ষে রশিদ খান ৩ ও মোহম্মাদ নবী ১ উইকেট নিয়েছেন।
টেষ্ট ইনিংসের প্রথম ওভারেই তামিম ইকবালের জায়গায় খেলতে নামা শাদমান ইসলামের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। কোন রান না করেই ফিরে যান শাদমান। ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন এনে মুমিনুল হকের পরিবর্তে তিন নম্বরে ক্রিজে আসেন লিটন দাস। ১ উইকেটে ১ রান নিয়ে মধাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
তবে দ্বিতীয় সেশনে এরপর লিটন দাস ও সৌম্য সরকার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও দলীয় ৩৮ রানে সৌম্য সরকারও ফিরে যান। ব্যক্তিগত ১৭ রানে মোহাম্মদ নবীর বলে এলবিডব্লিউ হন সৌম্য। কিছুক্ষণ পর রশিদে খানের বলে লিটন দাস(৩৩) বোল্ড হয়ে গেলে সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় রান তখন ৫৪।
সূত্র: নয়াদিগন্ত