Saturday, April 20বাংলারবার্তা২১-banglarbarta21
Shadow

করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা নতুন ১৬ সহ মোট ৪৩ আক্রান্ত ১ হাজারের ও বেশী

বার্তা প্রতিনিধি: বিশ্বের অন্যতম গনবসতী পূর্ণ চীনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটির হুবেই প্রদেশে আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ালো ৪৩ জনে। গতকাল শুক্রবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনে এখন পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৪৩ জন মারা গেছেন।

মন এক সময় এই ভাইরাসটি দেখা দিল যখন চীন নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। নববর্ষের ছুটিতে চীনের কোটি কোটি মানুষ দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ঘুরতে যায়। সারা দেশেই উৎসবের পরিস্থিতি বিরাজ করে।

এমন অবস্থায় এই ভাইরাস আরও বেশি ছড়িয়ে পরতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সে কারণে নববর্ষের অনেক অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে হুবেই প্রদেশের উহান শহরে একটি নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে।

গত বছরের শেষ দিকে চীনে হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে ভাইরাসটির উদ্ভব হয়। এরপর বেইজিং এবং বৃহত্তম শহর সাংহাই থেকে শুরু করে বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এখন বিশ্বজুড়ে তা ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চীনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, সিঙ্গাপুর, হংকং, ম্যাকাউ, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রেও প্রাদুর্ভাব ঘটেছে এই ভাইরাসের।

তকাল শুক্রবার নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্তের কথা নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী আগন বলেছেন, ফ্রান্সে করোনাভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত হয়েছে।

২০০০ সালে একই গোত্রের সার্স ভাইরাসে চীনে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই এশিয়া মহাদেশের। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন ভাইরাসটির জেনেটিক কোড সার্স ভাইরাসের বেশ কাছাকাছি।

চীনের হুবেই প্রদেশে জনসমাবেশ নিরুৎসাহিত করা ও হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কঠোর করার মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে কর্তৃপক্ষ এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।

চীনের স্বাস্থ্য কমিশন দেশজুড়ে নাগরিকদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলো এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে ও হুবেই প্রদেশের কর্তৃপক্ষকে ছুটির দিনগুলোতে জনসমাবেশ কমানোর নির্দেশ দিয়েছে।

কিন্তু কী করে এই রহস্যজনক ভাইরাস মানবদেহে আসে-তা নিয়ে গবেষণা চলছিল। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে আসে সাপ থেকেই নাকি এই ভাইরাসের উৎপত্তি।

বিবিসির বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, উহান শহরের একটি সি ফুড মার্কেট থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে বলে ধারণা করা হয়। অনেক গবেষক বলছেন, সম্ভবত এই ভাইরাসটি সাপ থেকে এসেছে।

বুধবার জার্নাল অব মেডিকেল ভাইরোলজিতে একটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে, সাপের জিনগত বিশ্লেষণে দেখা যায় সাপের মধ্যেই করোনাভাইরাসটি থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
সূত্র: dainikamadershomoy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *