করোনাভাইরাসের লক্ষণ: জ্বর দিয়ে এ রোগের লক্ষণ শুরু হয়। জ্বরের সঙ্গে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীরে ব্যথা থাকতে পারে। এক সপ্তাহের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। কারও ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও হতে পারে।
মানুষের দেহে ভাইরাসটি সংক্রমণের পর ১ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দিতে পারে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিনের মধ্যে এমনতিইে সেরে যায়। কিন্তু কিডনি, ডায়াবেটিস, হৃদযন্ত্র কিংবা ফুসফুসের রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। একই সঙ্গে এটি নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিওর অথবা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে মোড় নিতে পারে। এতে করে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, নতুন ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটি প্রতিরোধে কোনো টিকা কিংবা ভ্যাকসিন এখনও আবিস্কার হয়নি। ফলে এমন কোনো চিকিৎসা এখনও চিকিৎসকদের জানা নেই, যা এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। এই ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো, ইতোমধ্যে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি বাজারে। ওই বাজারে সামুদ্রিক খাবারসহ মুরগি, বাদুড়, খরগোশ, সাপ পাওয়া যেত। এসব প্রাণীর মাধ্যমে করোনাভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রমিত হতে পারে। একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, সাপ থেকে মানুষের দেহে সংক্রমিত হয়েছে এ ভাইরাস।
সূত্র: সমকাল