বার্তা প্রতিনিধি: কালের বিবর্তনে সংসার ভাঙ্গার ইতিহাস নতুন নয়। পরকিয়া যেমন সমাজকে কুলশিত করে তেমনী সংসারকেও। আর এর দায়ভার পড়ে তাদের সন্তানদের উপর। নিজের যৌন আখাংকা মিটানো বাধা হওয়া স্বামীকে ভাড়াটে খুনিকে দিয়ে জাবাই করলেন স্ত্রী। খুনিদের ভাড়া করার সময় এক হাজার ও খুনের পর দুই হাজার টাকা দেয়া হয়েছে খুনিদের। সোমবার নারায়ণগঞ্জের পৃথক চারটি আদালতে নিহত কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম (২৫) তার পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম পলাশ (৩০) ও তাদের ভাড়া করা দুই খুনি মাসুম হোসেন এবং ইমরান এ হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে হত্যার দায় স্বীকারসহ জবানবন্দি দিয়েছেন।
খুনিদের হাতে নিহত কালু নারায়ণগঞ্জ সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ এনায়েতনগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। গত ২ মার্চ শনিবার সকালে সোনারগাঁও উপজেলার কাইকারটেক কাফুরদী এলাকার ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে গলাকাটা অবস্থায় আমিনুল ইসলাম কালুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গত সোমবার নারায়ণগঞ্জের পৃথক চারটি আদালতে নিহত কালুর স্ত্রী রিক্তা বেগম (২৫), তার পরকীয়া প্রেমিক রেজাউল করিম পলাশ (৩০) ও তাদের ভাড়া করা দুই খুনী মাসুম হোসেন এবং ইমরান এ হত্যাকাণ্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে হত্যার দায় স্বীকারসহ জবানবন্দি দিয়েছেন। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবির, ফাহমিদা খাতুন, মাহমুদুল মহসিন ও আফতাবুজ্জামানের আদালত পৃথকভাবে এ চারজনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
খুনের ঘটনায় আসামিরা পুলিশকে জানিয়েছেন, মাত্র তিন হাজার টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনিরা গলা কেটে কালুকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় কালুর স্ত্রী রিক্তা গেম ও পরকীয়া প্রেমিক পলাশ। তাদের পরকীয়া প্রেমে বাধা ও ধার নেয়া টাকা আত্মসাতের জন্যই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কালুকে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে হত্যা করা হয়।
আসামিরা জবানবন্দিতে কালুকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। আদালতে তারা হত্যার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড পর্যন্ত পুরো ঘটনার বর্ণ দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান জানান, জবানবন্দি গ্রহণ শেষে চার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। নিহত কালুর আত্নিয়রা জানান আদালতের বিচারে এই চার জনের ফাঁসি দিলে কালুর আত্না শান্তি পাবে।