
আবারো বাংলাদেশে আরো একটি নতুন দল জুলাই বিপ্লবে নেত্রিত্বে দেওয়া ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নির্বাচন কমিশনে দলের নিবন্ধন আবেদন জমা দিয়ে দলের প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চেয়েছে। সেই সঙ্গে এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশনের পুনর্গঠনও দাবি করেছে দলটি।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!আরো জানতে পড়ৃন: শাবির ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষনের অভিযোগ আটক দুই
২২ জুন ২০২৫ইং রোববার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নিবন্ধন আবেদনের শেষ দিনে প্রয়োজনীয় দলিলাদিসহ দলের আবেদন জমা দেন সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এ সময় দলের মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী, উত্তরাঞ্চল সমন্বয়ক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, যুগ্ম মূখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিনসহ একটি প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার বিকেল চারটার দিকে প্রায় পঞ্চাশ জন নেতাকর্মীসহ এনসিপি প্রতিনিধি দল নির্বাচন ভবনে আসে। পরে নির্বাচন ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডেস্কপ্যাচে গিয়ে আবেদনপত্র জমা দেন তারা।
এনসিপি আবেদনপত্র জমা দিয়ে সাড়ে চারটার দিকে ব্রিফিংয়ে এসে সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘আমরা ইসি কর্মকর্তাদের কাছে আবেদনপত্র জমা দিয়েছি। নিবন্ধন শর্তপূরণ করে এমন সব কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা এনসিপির দলীয় প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়েছি।
আরো জানতে পড়ৃন: উত্তরায় কোটি টাকা লুটের মুল হোতারা অবসর প্রাপ্ত সেনা ও পুলিশ সদস্য
তিনি বলেন তিনটি প্রতীক আবেদনে উল্লেখ করলেও শাপলা প্রতীককে এনসিপির প্রতীক হিসেবে বরাদ্দ দেবে বলে প্রত্যাশা রাখেন তিনি।
এদিকে এনসিপির মূখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটোওয়ারী জানান, শাপলা ছাড়াও ‘কলম’ ও ‘মোবাইল’ প্রতীক হিসেবে চেয়েছে এনসিপি। এর মধ্যে শাপলাই বরাদ্দ পাবেন বলে প্রত্যয় রাখেন তিনি।
জুলাই বিপ্লবে নেত্রিত্ব দেওয়া ছাত্রদের রাজনৈতিক দল এনসিপি নিবন্ধন পাবে এবং শাপলা প্রতীকে জয় জয়কর হবে আগামী নির্বাচনে বলেন তিনি।
এদিকে এনসিপির মূখ্য সমন্বয়ক জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবিত ৪০০ আসনের মধ্যে ৩০০ আসনে এনসিপি জয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারবে বলে দাবি করেন তিনি।
আরো জানতে পড়ৃন: দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ও মোল্লা মাসুদকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহীনি
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির মূখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘আমরা এখনও দাবি করছি বর্তমান ইসির পুনর্গঠন করতে হবে। এ ইসি পুনর্গঠন হতে হবে এবং পুনর্গঠন হবেই। আমরা বি অপশনে যাচ্ছি না। আর কোনো বিকল্প নেই।
পরে দলের নেতাকর্মিরা দলের নিবন্ধন পাবে এবং আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেন দলের নেতাকর্মীরা।

