বিভিন্ন কারণে বুকব্যথা হয়ে থাকে। বুকের মাংসপেশির সংকট, হাড়ের সমস্যা, বুকে আঘাত পাওয়া, এমনকি ফুসফুসের সমস্যায় হতে পারে বুকব্যথা। খাদ্যনালির বিভিন্ন সমস্যায়ও বুকব্যথা হয়। আমাদের পাকস্থলীতে খাদ্য হজম করার অ্যাসিড থাকে। কখনো এ অ্যাসিড খাদ্যনালিতে চলে এলে বুক বা গলা জ্বালাপোড়া করে। বুকের হাড়ের নিচে এ ব্যথা অনূভূত হতে পারে।
বুকজ্বলা থেকে যে ধরনের ব্যথা হয়, তা সাধারণভাবে খাওয়ার পর হয়। এ ধরনের ব্যথা বেশ কয়েক ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে। ভয় বা আতঙ্ক থেকেও অনেকের বুকব্যথা করতে পারে। এ ধরনের বুকের ব্যথার সঙ্গে ঘন ঘন নিঃশ্বাস নেওয়ার উপসর্গ দেখা দিতে পারে। প্রচণ্ড ঘাম থেকেও বুকব্যথা হতে পারে। বুক ধড়ফড় করতে পারে। তবে হৃদযন্ত্রের আশপাশে যে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আছে, সেগুলোর কোনোটায় সমস্যা দেখা দিলে তার কারণে বুকব্যথা দেখা দিতে পারে।
এ সমস্যা হৃদরোগ থেকে সৃষ্ট বলে ধরে নিয়ে চিকিৎসক বা হাসপাতালে যাওয়া দোষণীয় নয়। কিন্তু হৃদরোগ থেকে ব্যথা হচ্ছে, অথচ ডাক্তারের কাছে বা হাসপাতালে না যাওয়া মানে মহাবিপদ ডেকে আনা। তবে ব্যথাটি হৃদরোগঘটিত বা হৃদরোগঘটিত নয়, তা বোঝার উপায় হলো- হৃদরোগ ছাড়া যে ব্যথা, তা বুকের এক জায়গায় থাকে।
আঙুল দিয়ে রোগী বলতে পারেন, ঠিক কোন স্থানে ব্যথা হচ্ছে। এ ধরনের ব্যথা বুক, ঘাড়, বাঁ হাত বা দেহের বাঁ পাশে ছড়িয়ে পড়ে না। এ ব্যথা সাধারণত কোনো বিপদের কারণ হয়ে দেখা দেয় না। এ ছাড়া এ ধরনের ব্যথা হলে প্রথমে কারণ কী, তা বের করতে হবে এবং সে কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা হলে রোগীর সুস্থতা লাভ মুহূর্তের ব্যাপার মাত্র।
লেখক : হারবাল গবেষক ও চিকিৎসক