বার্তা প্রতিনিধি: ডেঙ্গুর প্রকোপে ঢাকার রাজধানীসহ সারাদেশে আজ মঙ্গলবার ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ডেঙ্গুতে নিহতরা হলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের উপ-সচিব নুরুল আমিন নাহিদের স্ত্রী ফারজানা (৪২), পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদারের ছেলে লিটন হাওলাদার (২৫) এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ দুলাল হোসেনের স্ত্রী রূপা আক্তার জনি (২৫)।
রাজধানী ছাড়া বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের নাসির খানের ছেলে আসলাম খান (২৪), পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার ঘোষণতারা গ্রামের মো. আদম আলীর ছেলে মো. সোহেল (১৮) ও বরিশাল গৌরনদীর আলেয়া বেগম।
এদিকে সচিবের স্ত্রী ফারজানা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার ঢামেকে ভর্তি হন। তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ফারজানার মামাত ভাই কবির হাওলাদার জানান, ফারজানা হোসেন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজারবাগে প্যানপ্যাসিফিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ৬ দিন। সেখান থেকে সোমবার রাতে আইসিইউর জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢামেকে চিকিৎসাধীন সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় মারা যান তিনি।
অন্য এক সূত্রে জানা গেছে, ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া লিটন হাওলাদার পেশায় প্রাইভেটকারচালক ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢামেকের ৬০১ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন লিটন হাওলাদার মারা যান। গত ২৭ জুলাই তিনি ঢামেকে ভর্তি হন। লিটনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন ঢামেকের মেডিসিন বিভাগের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান ভুইয়া।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার শ্যামলিস্থ ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড স্পেশালাইজড হাসপিটালে ডেঙ্গু জ্বরে রূপা আক্তার জনির নামের এক মহিলার মৃত্যু হয়।
আবার বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার ভোররাতে মারা যান তারা। শেবাচিম হাসপাতাল পরিচালক ডা. এসএম বাকীর হোসেন বলেন, মৃত দু’জনই ঢাকায় ছিলেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তারা বাড়ি ফিরে আসেন। দু’জনই শেষমুহূর্তে মেডিকেলে ভর্তি হন। এ ছাড়া বরিশাল গৌরনদীতে ডেঙ্গুজ্বরে আলেয়া বেগম নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চত করেছেন গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মীর্জা মাহাবুব।
আবার সরকারি এক রিপোর্টে বলছে, সারা দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মহামারী আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৯৭৪ জনসহ দেশের ৬১ জেলায় নতুন ১ হাজার ৩৩৫ জন ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। সব মিলিয়ে বর্তমানে ৪ হাজার ৪০৮ জন রোগী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
গত মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে জানা যায় সরকার ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে।
সূত্র: যুগান্তর