বার্তা প্রতিনিধি: এক সময় ঢাকাই খ্যাত নায়িকা শাবনুরের সাত বছরের সংসার ভেঙ্গে গেলো। তিনি এক সময় ঢাকাই ছবির ছবি যুগের সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূর। স্বামী অনিক মাহমুদকে তালাক দিয়েছেন তিনি মাদকাসক্ত, শারীরিক-মানসিক নির্যাতন এবং পরনারীতে আসক্তের অভিযোগ এনে ।
জনপ্রিয় নায়িকা শাবনূরের স্বাক্ষরিত সেই তালাক নোটিশের এমনটিই জানিয়েছেন এ নায়িকা।
শাবনূর গেল ৪ ফেব্রুয়ারি তার অ্যাডভোকেট (তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী) কাওসার আহমেদের মাধ্যমে অনিক মাহমুদকে এই তালাক নোটিশ পাঠিয়েছেন।
এর ফলে অনিককে সঙ্গে প্রায় ৭ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানলেন এই অভিনেত্রী। ডিভোর্সের বিষয়টি অনলাইনকে শাবনূর নিশ্চিত করেছেন।
তবে তালাকের নোটিশ এবং হলফনামা প্রস্তুতকারী অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি অনিকে তালাক দিয়েছেন শাবনূর। সেই নোটিশ গেল ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসা পাঠানো হয়েছে। এর ফলে আইনগত ভাবে তাদের তালাক কার্যকর হবে ৯০ দিন পর।
অনেক ধুমধাম করে ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদকে বিয়ে করেন শাবনূর। এরপর ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তাদের ঘরে পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। তবে অনিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি। আর তাদের পূত্র সন্তানের ব্যাপারে শাবনুর এই মুহুত্বে কোন সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি। তবে শাবনুরের ঘুনিষ্টজনদের থেকে জানা যায় বিষয়টি নিয়ে আইনি পক্রিয়ার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।