বার্তা প্রতিনিধি: আবারো বাংলাদেশে সহিংসতার অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির আমির ও বর্তমান আহ্বায়ক জুনায়েদ বাবুনগরীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে সহিংসতার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এ দুই মামলা হয়। গত বৃহস্পতিবার হাটহাজারী থানায় মামলা দুটি হলেও জানা গেছে সোমবার।
সোমবার বিকেলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান। গত ২৬ মার্চের ঘটনায় এত দেরিতে মামলা হয়েছে কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করতে সময় লেগেছে। কোনো নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য সময় নেওয়া হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রাম পুলিশের জেলা বিশেষ শাখার (ডিএসবি) কনস্টেবল মো. সোলায়মান একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা মীর ইদ্রিস, নাছির উদ্দিন, জাকারিয়া নোমান, আহসান উল্লাহসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় রাখা হয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে।
হাটহাজারী থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ দায়িত্ব পালনকালে হাটহাজারী জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামন থেকে সোলায়মানকে ধরে নিয়ে মাদ্রাসায় আটকে রাখা হয়। তাকে সেখানে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
জুনায়েদ বাবু নগরীর বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেছেন হাটহাজারী থানার পরিদর্শক আমির হোসেন। এ মামলায় জুনায়েদ বাবুনগরী, হেফাজত নেতা জাকারিয়া নোমানসহ উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ ৭৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রাখা হয় দুই হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার জনকে।
তবে হাটহাজারীতে একই ঘটনায় আরও একটি মামলা হয়েছে। হাটহাজারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সৈয়দ ইকবাল, উপজেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমরান শিকদারসহ ৫৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রাখা হয় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে।
উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে হাটহাজারী সদর, ইছাপুর বাজারে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও রাস্তায় দেয়াল দিয়ে আসামিরা অস্থিরতা সৃষ্টি করেন। আসামিরা ২৬ থেকে ২৮ মার্চ রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ, থানা ও ভূমি অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগসহ পুলিশের ওপর হামলা করেন।
তবে এ পর্যন্ত কত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে কোন কিছু জানায়নি হাটহাজারী থানা পুলিশ।