Sunday, December 21বাংলারবার্তা ২১-banglarbarta21
Shadow

রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে আগুন পুড়ে চাই প্রায় ১.৫ হাজার ঘর

আবারো আগুনে পুড়ে চাই হলো রাজধানীর মহাখালী এলাকার কড়াইল বস্তি। মঙ্গলবার সন্ধ্যা লাগা আগুন অবশেষে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় আগুন নির্বাপণ সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর একে একে ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

আরো জানতে ক্লিক করুন: চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কার্যকর

আগুন নিভাতে আসা ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বলছেন, যানজটের কারণে প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লেগেছে, এরপর সরু গলির কারণে গাড়িগুলো অনেকটা দূরে রেখেই দীর্ঘ পাইপ টেনে পানি ছিটাতে হচ্ছে। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় পর রাত ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার খবর জানান ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম।

কড়াইল বস্তিতে আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানানো হবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

আরো জানতে ক্লিক করুন:প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ

কড়াইল বস্তিতে আগুনে বস্তির শত শত বাসিন্দা হয়ে পড়েছেন আশ্রয়হীন। রাতে তাদের বড় অংশই খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হন। ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম জানান, বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে কড়াইল বস্তিতে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। প্রথমে সেখানে সাতটি ইউনিট পাঠানো হয়। পরে তা বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রনে কাজ করে। বস্তিতে আগুনের ভয়াবহতা বিবেচনায় পরে ইউনিট বাড়ানো হয়েছে। কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

আরো জানতে ক্লিক করুন:২৪ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার ফাঁসির আদেশ

মহাখালী এলাকার কড়াইল বস্তিতে আগুনের খবর পাওয়ার পর যানজটের কারণে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সময় লাগে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলোর। পৌঁছানোর পর দেখা যায়, আগুনের কাছাকাছি পানির উৎস নেই। এ কারণে আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। এক পর্যায়ে তারা বস্তি লাগোয়া খাল থেকে পানি নেওয়া শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, আগুনে দেড় হাজার ঘর পুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী।

মহাখালী এলাকার কড়াইল বস্তিতে সরেজমিন দেখা যায়, আগুন থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছেন বস্তির বাসিন্দারা। কেউ কেউ ঘরের মূল্যবান সামগ্রী সরিয়ে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কাউকে কাউকে হাউমাউ করে কাঁদতে দেখা যায়। লাভলী বেগম নামের বস্তির এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমার সব পুইড়া শ্যাষ; কিচ্ছু নাই। সাত বছর এই বস্তিত আছি। অনেক কষ্টে কিছু জিনিসপত্র কিনছিলাম। ঘরে টিভি, ফ্রিজ আছে। মাসে মাসে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হয়। এইভাবে চিৎকার আর কান্নায় ভারি হয়ে উঠছে মহাখালী এলাকার কড়াইল বস্তি এলাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *