বার্তা প্রতিনিধি: ডিসেম্বর ২০১৯ এবং মহামারী আকারে ফেব্রুয়ারী ২০২০ করোনায় সারা বিশ্বে প্রাণহানির পাশাপাশি ভয়াবহ আর্থিক ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব। যার বাইরে নয় বাংলাদেশও। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে দেশের ১ শতাংশ মানুষ নতুন করে ক্রয় ক্ষমতা হারাচ্ছেন। আগামী জুনের মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে আসতে পারে বলে শঙ্কা তাদের। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, সঠিকভাবে ত্রাণ বিতরণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ।
দেশের সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ আর্থিক সক্ষমতা হারিয়েছে আরো আগেই। নিম্ন মধ্যবিত্তরাও এখন সংকটে।
করোনায় আটকে থাকা আর্থিক ভুক্তভোগীরা জানান, করোনার কারণে এখন ঘর থকে বাইরে বেরোতে পারি না। আয় রোজগারও নেই। সংসার চালাতে পারছিনা। এমন ঘর ভাড়াও দিতে পারছিনে।
ভুক্তভোগীদের এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. নাজনিন আহমেদ বলেন, করোনার প্রভাবে দিন দিন কর্মহীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্থবির অর্থনীতির কারণে নিম্নমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত সবাই এর ভুক্তভোগী।
বাংলাদেশে এক কোটি ২৫ লাখ পরিবারের প্রায় ৫ কোটি মানুষকে জুন মাস পর্যন্ত ত্রাণ দেয়া লাগতে পারে। এরই মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ৩ লক্ষ্য মেট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।
এদিকে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা বলছেন তাদের সঞ্চয় ফুরিয়ে গেছে। আমরা ৯১ লাখ ৩৩ হাজার ৬ শ’ ৭৩ টি পরিবারকে তালিকাভুক্ত করতে পেরেছি। প্রায় ৫ কোটি মানুষের তালিকাভুক্ত করা হবে। আমরা জুন মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত প্রতি পরিবারকে ২ হাজার টাকা করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি।
আর যদি সাধারন জনগনের মাঝে সরকারের দেয়া এই অর্থ সঠিক ভাবে বন্টন হয় তাহলে মধ্যবিত্তরা উপকৃত হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।